টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ঝুঁকি থেকে বাঁচার ১০ টি উপায়

টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম আমাদের অনেক সময় টাকা লেনদেন করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেক সময় টাকা লেনদেন করতে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় এবং স্ক্যাম স্বীকার হতে হয়। তাই এই ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্ক্যাম শিকার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের এই দশটি নিয়ম ফলো করুন
টাকা-লেনদেনের-চুক্তিপত্র-লেখার-নিয়ম


টাকা লেনদেন করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যা উভয়ই পক্ষ জানলে টাকা লেনদেন করা অনেক সুবিধা হবে বা ঝুঁকিপূর্ণ হবে না। আমাদের আজকের আলোচনায় বিস্তারিত এবং সম্পূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা থাকবে আশা করি সম্পূর্ণ বুঝতে পারবেন। এবং আপনার মনের মধ্যে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়ে যাবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃটাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম আমাদের অনেক সময় টাকার প্রয়োজন হয় কিন্তু নিজের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় অন্য মানুষের কাছে ধার কিংবা লোন ইত্যাদি ভাবে ম্যানেজ করতে হয়। পাড়া-প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে টাকা লেনদেন করে থাকি তাহলে উপযুক্ত একটা প্রমাণ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। টাকা লেনদেন করার জন্য উপযুক্ত প্রমাণ চুক্তিপত্র লেখার বিকল্প নেই।

চুক্তিপত্র লেখার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে এই বিষয়ে এবং সম্পূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারব। নিচে পয়েন্ট আকারে দেয়া হলোঃ
  1. প্রথমেই দুই পক্ষের পরিচয় পত্র থাকতে হবে ঋণ-দাতা এবং ঋণ-গ্রহণকারী উভয়ের নাম ঠিকানা বাবার নাম মাতার নাম জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি কপি গুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে। এগুলো চুক্তিপত্রের সঙ্গে রেখে দিতে হবে।
  2. চুক্তিপত্রে টাকা লেনদেন করার জন্য লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে সংখ্যা এবং কথাই উভয় ভাবে উল্লেখ করতে হবে। এইভাবে উল্লেখ করিলে ভবিষ্যতে কোনো রকম বিভ্রান্তি ঘটে না।
  3. পাতা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার সময় পরিষদের সময়সীমা উল্লেখ করে দিতে হবে।ঋণ-গ্রহণকারী কতদিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিবে স্পষ্ট লিখতে হবে পরবর্তীতে কোন রকম সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
  4. চুদ বা বিনা সুদ এবং জামানত ইত্যাদি সকল বিষয় উল্লেখ রাখতে হবে।
  5. কাফেরত দেওয়ার সময় সীমা অতিক্রম হয়ে গেলে জরিমানা উল্লেখ রাখিতে হইবে।
  6. টাকা লেনদেন করার জন্য এবং চুক্তিপত্র লেখার পূর্বে অবশ্যই সাক্ষী রাখিতে হইবে।
  7. টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্রে আইন পদক্ষেপ উল্লেখ রাখতে হইবে চুক্তিপত্র ভঙ্গ করলে আইনের পদক্ষেপ নেয়া হবে এ ধরনের কিছু কথা সংক্ষেপে লিখে রাখতে হবে।
  8. টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র দুই পক্ষের কাছে রাখিতে হইবে ভবিষ্যতে কোনো রকম ঝামেলা বা ভুল বোঝাবুঝি না হয় এই জন্য রাখতে হইবে।
টাকা লেনদেন করার জন্য মুখের কথা নয় পর্যাপ্ত সাক্ষী ও খাতায় লেখালেখি যেমন চুক্তিপত্র তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ এবং নিজের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝি বা কোন রকম ঝামেলা ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। চুক্তিপত্র কি কেন দরকার বিস্তারিত নিচে জানবো।

চুক্তিপত্র কি এবং কেন দরকার হয়

চুক্তিপত্র কি এবং কেন দরকার আমরা অনেকের সাথে টাকা লেনদেন করে থাকি এই টাকা লেনদেন করার সময় ঝুঁকিপূর্ণ বা স্ক্যাম শিকার হয়ে থাকি।স্ক্যাম শিকার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বা ঝুঁকিপূর্ণ না থাকার জন্য আমাদের চুক্তিপত্র তা লেখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক সময় বড় ধরনের লেনদেন করে থাকি তো এই সময় মুখের কথা বা মৌখিক চুক্তিপত্র এর উপর নির্ভর করলে বিপদ হতে পারে ঠিক এই কারণেই চুক্তিপত্র লেখা গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ
চুক্তিপত্র কি চুক্তিপত্র হলো বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে তৈরি করা যেখানে দুই বা ততোধিক পক্ষের সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করা থাকবে আইনের দৃষ্টিতে বৈধ হবে এবং সেখানে নাম পরিচয় ঠিকানা জন্ম নিবন্ধন জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি সকল বিষয়ে তথ্য সেখানে থাকবে। যেন পরবর্তীতে কোন অসুবিধা হলে আইনের সুবিধা নেওয়া যায়।

সুদ বা বিনা সুদ এর চুক্তিপত্র শর্ত সমূহ

আপনার জীবনে নানা প্রয়োজনে টাকা প্রয়োজন হয়ে থাকে এ টাকা হয়তো সব সময় নিজের কাছে থাকে না তাই হয়তো বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী ইত্যাদি মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকি এই টাকা সংগ্রহ করার জন্য মৌখিক চুক্তিপত্রে কাজটা সেরে ফেলা উচিত নয় কারণ এটা পরবর্তীতে সম্পর্ক নষ্ট এবং বড় একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে দেখা যায়। এইটা হোক সুদ বা বিনা সুদ টাকা লেনদেন করার সময় একটা বৈধ চুক্তিপত্র করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সুদ এর চুক্তিপত্র যে শর্ত সমূহ উল্লেখ থাকতে হব
  1. সুদের হার কত পারে বার্ষিক ১০% বা ৬ মাসে ১০% ইত্যাদি এরকম ভাবে উল্লেখ করে রাখতে হবে।
  2. সুদ মাসিক না বার্ষিক উল্লেখ করে রাখতে হবে।
  3. মূলধনের সঙ্গে কতদিন পরে যুক্ত হবে উল্লেখ করে দিতে হবে।
  4. নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করে দিতে হবে।
  5. নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হয়ে গেলে সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে নাকি উল্লেখ করে দিতে হবে।
ইত্যাদি বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলে সুদ এর চুক্তিপত্র লেখা সুবিধা হইবে এবং পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে না।
সুদ প্রযোজ্য নয় এমন চুক্তিপত্র
এই ধরনের লেনদেনের সময় একদম স্পষ্টভাবে লিখে দিতে হবে এই লেনদেনে কোন অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা হবে না বা কোন অতিরিক্ত অর্থ কোন পক্ষ দাবি করতে পারবে না। আপনি এরকম ভাবে লিখতে পারেন যে এই ঋণটি সম্পূর্ণ বিনা সুদে প্রদান করা হয়েছে এখান থেকে কোন অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হবে না শুধু মূলধন সময় মত ফেরত নেওয়া হবে।
  1. এই ধরনের লেনদেনে যদি জামানত নিয়ে থাকেন তা উল্লেখ করে দিতে হবে।
  2. ঋণ প্রদানকারী এবং ঋণ গ্রহণকারী উভয়দের সাক্ষর করতে হবে।
  3. টাকা লেনদেন এবং চুক্তিপত্র লেখার সময় দিন তারিখ ইত্যাদি লিখে রাখতে হবে এবং উভয়পক্ষের দুজন করে সাক্ষী দিতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে।
ইত্যাদি উপরের নিয়ম গুলো অবলম্বন করে সুদ নেওয়ার শর্ত গুলো পালন করতে হবে এবং সুদ না নেওয়া শর্তগুলো পালন করতে হবে তাহলে পরবর্তী সময়ে আর কোন ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হবে না।

টাকা লেনদেন করার সঠিক ১০ টি নিয়ম

টাকা লেনদেন করার সঠিক ১০ টি উপায় আমরা অনেক প্রয়োজনীয় কাজে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকি তবে গ্রহণ বা প্রদান করার আগে সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার অনেক উপকারে আসবে। আমরা টাকা লেনদেন করার সঠিক দশটি উপায় সম্পর্কে আপনাকে ধারণা দিব।
টাকা লেনদেন করার সঠিক দশটি উপায়
  1. টাকা লেনদেন করার সর্বপ্রথম চুক্তিপত্র তৈরি করতে হবে। এটা মৌখিক চুক্তিপত্র করলে হবে না কারণ মৌখিক চুক্তিপত্র অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যায় তাই লিখিত চুক্তিপত্র তৈরি করে নিতে হবে। চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম উপরে বর্ণিত করা হয়েছে।
  2. অবশ্যই লেনদেন করার পূর্বে সাক্ষীর উপস্থিতিতে লেনদেন করিতে হইবে। কারণ ভবিষ্যতে যদি কোনরকম ভুল বোঝাবুঝি হয় তাহলে সাক্ষীর মাধ্যমে সমাধান করা যাবে এই জন্য সাক্ষী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অত্যন্ত একজন রাখতেই হ...
  3. টাকা লেনদেন করার পূর্বে পরিচয় পত্র নিশ্চিত করতে হবে টাকা প্রদানকারী এবং গ্রহণকারী দুজন ই জাতীয় পরিচয় পত্র ফটো কপি চুক্তিপত্র এর সঙ্গে সংগ্রহ করতে হবে।
  4. লেনদেনের পরিমাণ এবং সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে লিখে রাখতে হবে এবং সময় কতদিন তা উল্লেখ করে লিখে দিতে হবে।
  5. সুদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরিষ্কার করে লিখতে হবে পরবর্তী কারো মনের মধ্যে যেন প্রশ্ন না থাকে।
  6. টাকা লেনদেন করার পূর্বে টাকার পরিমান অনুযায়ী কিছু জামানত নেওয়া দায়িত্ব শীল এর মধ্যে পড়ে।
  7. টাকা লেনদেন করার পূর্বে লিখিত চুক্তিপত্র অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখতে হবে
  8. মৌখিক চুক্তিপত্র এড়িয়ে চলতে হবে সব সময়। কারণ এটাই ভুল বুঝাবুঝি বেশি হয় বা যে চুক্তি করা হলো মনে নাও থাকতে পারে।
  9. আইন সহয়াতায় ব্যবস্থায় সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
  10. কোনো রকম আবেগের বসে টাকা ধার দেওয়া বার লেনদেন করা থেকে বিরত থাকা ভালো।
আমাদের এই পয়েন্টগুলো থেকে টাকা লেনদেন করার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে ধাপগুলো রয়েছে একদম সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পেরেছি নিয়মগুলো অনুসরণ করে লেনদেন করিলে পূর্বে এবং পরে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না তাই এই নিয়মগুলো জানা দরকার।

নগদ টাকা কিভাবে লেনদেন করা হয়

নগদ টাকা কিভাবে লেনদেন করা হয় আমাদের মনে আজব প্রশ্ন হতে পারে চলুন বিস্তারিত পরিষ্কার করে জানা যাক। নগদ টাকা লেনদেনের সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হলো একে অপরের হাতে টাকা দেওয়া। বিভিন্ন কাজে একে অপরের হাতে মানুষ টাকা দিয়ে থাকে এগুলো নগদ টাকা লেনদেন বলা হয়।
  1.  যেমন উদাহরণ কোন কিছু ক্রয় বা বিক্রয় করার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে নগদ টাকা লেনদেন করা হয়।
  2. বেতন বা পারিশ্রমিক দেওয়ার সময় মানুষ নগদ টাকা হাতে প্রদান করে থাকে একে নগদ লেনদেন বলা হয়।
  3. আমার বন্ধু বা পরিবার-পরিজন এদের মধ্যে নগদ টাকা লেনদেন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ
পাবেন নগদ টাকা লেনদেন করার পূর্বে একটু সতর্ক থাকাই ভালো। নগদ টাকা লেনদেন করার পূর্বে, একটা কিংবা দুইটা সাক্ষী রেখে দিলাম বা বিশেষ কোনো শ্রেণীর মানুষদের ধার দেওয়া যাবে না এগুলো খেয়াল করে ধার দেওয়া ভালো। কারণ এখান থেকে পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই একটু সতর্কতা অবলম্বন করি।

কতটি উপায়ে মানুষকে টাকা দেওয়া যায়

 কতটি উপায় মানুষকে টাকা দেওয়া যায় হয়তো কিছু জানি আমরা আবার কিছু জানি না কিন্তু আজকে আমরা সম্পূর্ণ একদম বিস্তারিত আলোচনা জানতে পারবো। মানুষকে টাকা দেওয়ার দশটি পয়েন্ট আপনাদের দিব 
  1. নগদ অর্থে টাকা ধার দেওয়া মানে একদম সরাসরি হাতে টাকা দেঅয়া।
  2. চেকেরমাধ্যমে টাকা প্রদান করা মানে ব্যাংক চেক এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।
  3. মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ নগদ রকেট উপায় আরো ইত্যাদি মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।
  4. ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমেও দিয়ে থাকে মানে এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়।
  5. চুক্তিপত্র তৈরি করে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।
  6. কোন কিছু জামানত রেখে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।
  7. কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে টাকা ধার দেওয়া যেমন ব্যবসায়িক পার্টনারকে।
তবে সবসময় মাথা রাখতে হবে ধার যেভাবেই হোক না কেন প্রমাণ রেখে দিতে হবে।

টাকা লেনদেন আইন অনুযায়ী বৈধ নাকি অবৈধ

টাকা লেনদেন আইন অনুযায়ী বৈধ নাকি অবৈধ আমাদের সবার টাকা লেনদেন করার পূর্বে টাকা লেনদেন করার আইন যা না গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি এটা অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে এটা আমাদের অপরাধ বা আইন অনুযায়ী শাস্তি গ্রহণ করতে হবে। তাই এ সকল নিয়ম জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের বাংলাদেশে প্রচলিত আইন ১৮ বছর পূর্ণ না হইলে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে গণ্য করা হয় না তাই ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের চুক্তিপত্র ইত্যাদি দায়িত্ব গ্রহণ করা যাবে না।

১৮ বছর পূরণ হওয়া পর্যন্ত তাকালেনদেন করা হয়ে থাকে যদি তাহলে এটা আইনের চোখে অবৈধ এবং আইন শাস্ত্রী যোগ্য করবে। আবার এমন কি 18 বছর পূর্ণ না হইলে আপনার চুক্তিপত্র ভঙ্গের দাবি করতে পারবে। তাই জেনে নেওয়া দরকার টুক্তিপত্র করার পূর্বে এগুলো বিষয় সম্পর্কে। সুতরাং বলা যায় আইনের চোখে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্ক হলে টাকা লেনদেন করা আইনের যত বৈধ। টাকা
লেনদেন করার পূর্বে জামানত বিষয়ে নিচে তথ্য দেওয়া আছে 

টাকা লেনদেন করার জন্য জামানত সম্পর্কিত সকল তথ্য

টাকা লেনদেন করার জন্য যেমন সম্পর্কিত সকল তথ্য জানার জন্য এইটুকু পোস্ট করুন আশা করি সকল কিছু বুঝে যাবেন করার জন্য কেমন নেওয়া দরকার বা কিভাবে নেওয়া দরকার ইত্যাদি সকল বিষয়ে কথা থাকবে। টাকা লেনদেন করা একটি দায়িত্বশীল কাজ তেমনি আবার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তাই জন্য আমরা জামানত হিসেবে কিছু গ্রহণ করে থাকি।
আরো পড়ুনঃ

জামানত কি জামাত হলো সেই সম্পদ যেই সম্পদের এর মাধ্যমে ঋণদাতার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয় ওই সম্পদের জন্যই ঋণদাতা তাকে ঋণ প্রদান করে থাকে এই সম্পদটাকে জামানত বলা হয়েছে যা পরবর্তীতে আবার ফেরত যোগ্য। জামানত কেন রাখা দরকার
  1. ঋণ প্রদানকারী আর্থিকভাবে নিরাপত্তার জন্য জামাত প্রয়োজন।
  2. জামানত থাকলে ঋণ গ্রহণকারী সময়মতো টাকা ফেরত দিতে ভূমিকা পালন করবে।
  3. ঋণ ফেরত না দিলে জামানত ব্যবহার এর শর্ত প্রযোজ্য হয়ে যাবে।
জামানত এমন একটি জিনিস যা ঋণ দাতার মানসিক চিন্তা এবং নিরাপত্তাই বিশেষ ভূমিকা পালন করে। টাকা লেনদেন করার পূর্বে জামানত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এইটা ভবিষ্যতের চিন্তা মুক্ত রাখবে।

শেষ কথাঃটাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি এখন সম্পূর্ণ আলোচনায় একটু সংক্ষিপ্ত করে বলব। টাকা লেনদেন করা আমাদের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বা পেশাগত কাজ। কিন্তু এই লেনদেন নিরাপত্তার সাথে করা উচিত যাতে করে আমাদের ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে না হয়। অনেকেই বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে উপযুক্ত প্রমাণ না রেখে অনেক দুশ্চিন্তা এবং পরবর্তীতে অর্থ ফেরত পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সংক্ষেপে কয় পক্ষের পরিচয় পত্র সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে হবে লেনদেনের পরিমাণ সংখ্যা এবং কথায় স্পষ্ট ভাবে লিখে রাখতে হবে এবং ফেরতের সময়সীমা নির্ধারণ করে লিখে দিতে হবে যদি সুধ গ্রহণযোগ্য হয় থাহলে সুদের পরিমাণ স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। এবং দুই পক্ষের দুইটা করে সাক্ষী রাখতে হবে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে এবং ঋণ গ্রহণকারী ঋণদা উভয়ের স্বাক্ষর নিতে হবে। সংক্ষেপে এই নিয়মগুলো ফলো করে টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লিখলে পরবর্তীতে কোনরকম সমস্যায় সম্মুখীন হতে হবে না।








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url